সুন্দরবনের-বুনো-মধু-rootdine
Blog

মধুর উপকারীতা

833 Views

রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়ঃমধু শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ভেতরে এবং বাইরে যে কোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতাও যোগান দেয়। মধুতে আছে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে। ২০০৭ সালে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা যায়, সুপারবাগ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে মধু অত্যন্ত কার্যকর। বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণে বিভিন্ন রোগ প্রায়ই দেহকে দুর্বল করে দেয়। এসব ভাইরাস প্রতিরোধে মধু খুবই কার্যকর!

যৌন দুর্বলতায়ঃ পুরুষ বা মহিলাদের মধ্যে যাদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে তারা যদি প্রতিদিন মধু ও ছোলা মিশিয়ে খান তাহলে বেশ উপকার পাবেন।

শক্তি প্রদায়ীঃ মধু শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি তাপ ও শক্তির ভালো উৎস। তাপ ও শক্তি জুগিয়ে দেহকে সুস্থ রাখতে মধু অত্যন্ত কার্যকর।

ওজন কমাতেঃ মধু পেট পরিষ্কার করে, মধু ফ্যাট কমায়, ফলে ওজন কমে। মধুতে কোনো চর্বি নেই।

রূপচর্চায়ঃ মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যও মধু ব্যবহৃত হয়। মেয়েদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে মাস্ক হিসেবে মধুর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়।

তারুণ্য বজায় রাখতেঃ মধু এন্টি অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। তারুণ্য বজায় রাখতে মধুর ভূমিকা অপরিহার্য। শরীরের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায় ও তারুণ্য বাড়ায়।

হজমে সহায়তাঃ মধুতে আছে শর্করা। তাই এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং খুব দ্রুততার সাথে কাজ করে। পেটে অসুখ থাকলে মধু বিশেষ উপকার করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ মধুতে  ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকায় ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর করতে ১ চা চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করার অভ্যাস করতে পারেন।

রক্তশূন্যতায়ঃ মধুতে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ থাকায় রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে । এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক।

ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়েঃ এক বছরের পুরনো মধু শ্বাস কষ্টের রোগীদের জন্য বেশ ভালো। ফুসফুস, অ্যাজমা (শ্বাস কষ্ট) রোগীর নাকের কাছে মধু ধরে শ্বাস টেনে নিলে সে স্বাভাবিক এবং গভীর ভাবে শ্বাস টেনে নিতে পারবেন।

অনিদ্রায়ঃ রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে। মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ।

প্রশান্তিদায়ক পানীয়ঃ মধু মিশ্রিত হালকা গরম দুধে একটি প্রশান্তিদায়ক পানীয়।

পাকস্থলীর সুস্থতায়ঃ মধু হজমের গোলমাল ও পাকস্থলী সুস্থতা জোরালো করে  এর ব্যবহার হাইড্রোক্রলিক এসিড ক্ষরণ কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুক জ্বালা এগুলো দূর করা সম্ভব হয়।

দেহে তাপ উৎপাদনেঃ এক অথবা দুই চা চামচ মধু এক কাপ ফুটানো পানির সঙ্গে খেলে শরীর ঝরঝরে ও তাজা থাকে। শীতের ঠান্ডায় এটি দেহকে গরম রাখে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেঃ গাজরের রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ প্রতিনিয়ত এটার ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ কমায়। প্রতিদিন সকালে খাবার এক ঘণ্টা আগে দু’চামচ মধুর সাথে এক চামচ রসুনের রস মেশান। সকাল সন্ধ্যা দু’বার এই মিশ্রণ খান।

হজমে সহায়তাঃ মধু সহজে হজম হয়, বাচ্চাদেরও হজম হবে কারন মধু ইতিমধ্যে একবার মৌমাছি হজম করেছে। মধু প্রাকৃতিক ভাবেই মিষ্টি।

গলার স্বরঃ মধু স্থায়ীভাবে গলার স্বর সুন্দর ও মধুর করে।

হাড় ও দাঁত গঠনেঃ ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, ভঙ্গুরতা রোধ করে। মধুর গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ক্যালসিয়াম।

আমাশয় এবং পেটের পীড়া নিরাময়েঃ পুরনো আমাশয় এবং পেটের পীড়া নিরাময়সহ নানাবিধ জটিল রোগের উপকার করে থাকে।

হাঁপানি রোধেঃ আধা গ্রাম গুঁড়ো করা গোলমরিচের সাথে সমপরিমাণ মধু এবং আদা মেশান। দিনে অন্তত তিন বার এই মিশ্রণ খান। এটা হাঁপানি রোধে সহায়তা করে।

রক্ত পরিষ্কারকঃ এক গ্লাস গরম পানির সাথে এক বা দুই চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মেশান। পেট খালি করার আগে প্রতিদিন এই মিশ্রন খান। এটা রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তনালী গুলোও পরিষ্কার করে।

রক্ত উৎপাদনে সহায়তাঃ রক্ত উৎপাদনকারী উপকরণ আয়রন রয়েছে মধুতে। আয়রন রক্তের উপাদানকে (আরবিসি, ডব্লিউবিসি, প্লাটিলেট) অধিক কার্যকর ও শক্তিশালী করে।

হৃদরোগেঃ এক চামচ মৌরি গুঁড়োর সাথে এক বা দুই চামচ মধুর মিশ্রণ হৃদরোগের টনিক হিসেবে কাজ করে। এটা হৃদপেশিকে সবল করে এবং এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

Related posts

Leave a Comment